হিট স্ট্রোক: প্রতিরোধে একজন খেলোয়াড়ের যা করনীয় জেনে নিন- (রাবিতাএ)

একজন মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেল:। কোনো কারণে  যদি শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে রক্তনালি প্রসারিত করে অতিরিক্ত তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে দেয় শরীর। ঘামের মাধ্যমেও তাপ কমায় শরীর। তবে প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র পরিবেশে বেশি সময় অবস্থান বা পরিশ্রমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হতে পারে হিট স্ট্রোক। তখন শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

হিট স্ট্রোক এর ১০ টি লক্ষনঃ

১. তীব্র মাথাব্যথা

২.প্রচণ্ড তৃষ্ণা, পানিশূন্যতা, ঘাম

৩.দ্রুত হৃদস্পন্দন

৪.হাইপারভেন্টিলেশন

৫.বমি বমি ভাব

৬.বিরক্তি, বিভ্রান্তি বা প্রলাপ বকা

৭.কথা জড়িয়ে যাওয়া

৮.পেশিতে ব্যথা

৯.দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

১০.ঘাম না হওয়া

হিট স্ট্রোক কাদের বেশি হয়ঃ

* শিশু ও বৃদ্ধদের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম থাকায় কারনে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

*যাঁরা প্রচণ্ড রোদে কায়িক পরিশ্রম করেন, তাঁদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। যেমনঃ শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালক,ভ্যানচালক

*শরীরে পানিস্বল্পতা কারনে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

* কিছু কিছু ওষুধ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষ করে প্রস্রাব বাড়ানোর ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ ইত্যাদি।

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের ১০ টি টিপসঃ

  • ঢিলেঢালা পোশাক পরিদান করতে হবে।
  • হালকা ঠান্ডা পানি পান করুন যেন ডিহাইড্রেশন না হয়।
  • অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
  • সিজিনালী ফল খান। যেমনঃ শসা, তরমুজ এবং কলা
  • রোদের তাপ এড়িয়ে চলুন।
  •  অ্যাকোয়া ব্যায়াম বা সাঁতার কাটাতে পারেন।
  •  ঘন ঘন তরল পানি বা স্যালাইন যুক্ত পানি পান করুন।
  •  শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মধ্যে তাকলে ভাল।
  •  সানস্ক্রিম SPF 15 দিয়ে নিজেকে রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করুন।
  • শিশুকে অযত্নে রাখবেন না।
  • নিচু এবং উচ্চতা অতিক্রম করার আগে ভালভাবে মানিয়ে নিন, বিশেষত, যখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গা থেকে বাইরে যাওয়ার সময়।
  • আপনি হিট স্ট্রোকের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকলে, অভিঙ্গ চিকিৎসকের কছে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিন।

 

মুমিত হাসান ব্রাইট  (সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান প্রশিক্ষক)

রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *